কি-ওয়ার্ডের ব্যবহার


যেকোন ব্লগের অনপেজ এসইও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো কন্টেন্টে সঠিকভাবে কি-ওয়ার্ডের ব্যবহার। এজন্য গুগল এনালিটিকস থেকে আপনার প্রয়োজনীয় কি-ওয়ার্ড গুলো বেছে নিন। চেষ্টা করবেন সার্চ ভলিউম ও কম্পিটিশন মাঝারি হয় এমন কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করার। একটি ৭০০-৮০০ ওয়ার্ডের পোস্টে ২ টি কি-ওয়ার্ড ৭-৮ বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। তবে কি-ওয়ার্ড গুলো লং টেইল হলে ভালো হয়।কারণ লং টেইল কি-ওয়ার্ড দিয়ে আমি সফলতা পেয়েছি।তারপরও পুরো বিষয়টি নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিনের উপর যে সে আপনার এই আর্টিকেলের কোন বিষয়টিকে কি-ওয়ার্ড হিসেবে ধরে নেবে।

ছবির ব্যবহার
আলসেমি করে পোস্টে ছবি দেওয়া হয়ে উঠছেনা! ফলস্বরূপ আপনি আপনার ব্লগের পাঠক হারাচ্ছেন।পোস্টের যেখানে দরকার সেখানে প্রাসঙ্গিক ছবি ব্যবহার করুন। অবশ্যই ছবির Title এবং Alt tag ঠিক মত দিন। সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এটি অতিব জরুরি। এলোমেলো এবং যেকোন ছবি ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখুন নিজেকে। যথাযথ ছবির ব্যবহার আপনার পোষ্টটিকে আরো আকর্ষনীয় করে তুলবে। প্রয়োজনে ছবির ক্রেডিট এবং সোর্স উল্লেখ করে দিন।

কন্টেন্ট সাজানো
একটি ব্লগের ৮০% সফলতা নির্ভর করে সাজানো গোছানো কন্টেন্টের উপর। তবে বিষয়টি এতো সহজ নয়। কন্টেন্ট সাজানো রীতিমতো একটি চ্যালেন্জিং বিষয়। আপনি লেখায় যা বর্ণনা করতে চাচ্ছেন তা কঠিন ভাষায় না লিখে সাবলীল ও সাচ্ছন্দ্যময় ভাষায় লিখুন। যাতে পাঠকদের বুঝতে সহজ হয়। বড় বাক্য ব্যবহার না করে ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করে তথ্যগুলো তুলে ধরুন। আপনি যদি বিভিন্ন তথ্য দিতে চান তাহলে আগেই ঠিক করে নিন কোন তথ্যের পর কোনটা দিবেন। এলোমেলো তথ্য দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। জোর দিয়ে কোন কিছু প্রকাশ করতে চাইলে সেটি বোল্ড করে দিন।

আর্টিকেল রিভিসন দিন
ব্লগে একটি পোস্ট করার আগে তা ভালোভাবে রিভিসন দিবেন। এতে পোস্টের কোথাও কোন অসামঞ্জস্য থাকলে তা ধরা পড়বে। বাক্য গঠনে কোন সমস্যা হলে তা ঠিক করে নিতে পারবেন। বই লেখকদের মতো যদি তৃতীয় পক্ষ দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়াতে পারেন তাহলে সেটা সবচেয়ে ভালো হয়।এতে আপনার পাঠকদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে পূর্ব ধারণা পাবেন।

0 comments:

Post a Comment

 
Top
Top